শিল্প বর্জ্য ও পানি দূষণ
শিল্প বর্জ্যের প্রকারভেদ:
শিল্প থেকে নির্গত বর্জ্য বিভিন্ন প্রকার হতে পারে, যেমন:
- তরল বর্জ্য:
কারখানার নির্গত রাসায়নিক দ্রবণ, তেল, এবং রঞ্জক। - কঠিন বর্জ্য:
প্লাস্টিক, ধাতব অংশ, এবং অন্যান্য কঠিন পদার্থ। - গ্যাসীয় বর্জ্য:
রাসায়নিক কারখানার নির্গত বিষাক্ত গ্যাস। - জৈব বর্জ্য:
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের অবশিষ্টাংশ।
পানি দূষণের কারণ:
- রাসায়নিক নির্গমন:
কারখানার রাসায়নিক দ্রব্য সরাসরি পানিতে ফেলা হলে পানি দূষিত হয়। - তেল নির্গমন:
জাহাজ এবং তেল শোধনাগার থেকে নির্গত তেল সমুদ্র এবং নদীর পানি দূষিত করে। - কঠিন বর্জ্য:
প্লাস্টিক এবং ধাতব উপাদান পানির উৎসে ফেলা হলে তা দূষণ সৃষ্টি করে। - জৈব বর্জ্য:
অপরিশোধিত বর্জ্য পানিতে মিশে অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি করে।
প্রভাব:
- মানুষের উপর প্রভাব:
দূষিত পানি পানে এবং ব্যবহারে বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়রিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদি হতে পারে। - জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব:
জলজ প্রাণীর স্বাভাবিক বাসস্থান ধ্বংস হয়, এবং অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির সম্মুখীন হয়। - পরিবেশের উপর প্রভাব:
দূষিত পানি মাটির উর্বরতা হ্রাস করে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে। - অর্থনৈতিক ক্ষতি:
দূষিত পানি কৃষি, মৎস্য এবং পর্যটন শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
- শিল্প বর্জ্যের পরিশোধন:
কারখানাগুলোর বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করা। - নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা:
সরকারের কঠোর আইন প্রয়োগ এবং পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম। - পুনর্ব্যবহার:
শিল্প বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ। - সচেতনতা বৃদ্ধি:
জনগণের মধ্যে দূষণের ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। - জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার:
বর্জ্য শোধনে প্রাকৃতিক এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার।
Content added By
Read more